চৌদ্দগ্রামে প্রবাসীর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি সহ হয়রানির অভিযোগ

চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাতিসা ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে নিজ জায়গায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান, শ্লীলতাহানীর চেষ্টা সহ প্রবাসীর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে আব্দুর রহিম, আব্দুল কুদ্দুস ও আব্দুস সাত্তার সহ স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে। তারা একই গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগি প্রবাসী কাজী জাফর আহাম্মদ এর স্ত্রী মাফিয়া বেগম বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনের নামে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্র ও সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা গেছে, প্রবাসী কাজী জাফর আহাম্মদ ২০১৯ সালে ক্রয়কৃত জায়গায় সীমানা প্রাচীর নির্মান করতে গেলে পাশ^বর্তী বাড়ীর আব্দুর রহিম গং তাদেরকে নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান করে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাজী সাইফুল ইসলাম ও গণ্যমান্য লোকজনের সহযোগিতায় একাধিকবার শালিস বৈঠকে বসে বিষয়টি সমাধান করা হয়। শালিসদারগণ আব্দুর রহিম গংদের যাতায়াতের সুবিধার্থে কাজী জাফর আহাম্মদকে ৩ ফুট জায়গা ছেড়ে দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে বললে তিনি সেই মোতাবেকই কাজ করেন। কিন্তু এরপর আব্দুর রহিম গং মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্নভাবে অপপ্রচার করে প্রবাসীর পরিবারকে হয়রানী করে আসছে। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আব্দুর রহিম গংদের মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগি প্রবাসী জাফরের স্ত্রী মাফিয়া বেগম বলেন, ‘আমাদের নিজ জায়গায় সীমানা প্রাচীর নির্মান করতে গেলে আব্দুর রহিম গং বাধা প্রদান করে। পরে গ্রামবাসীর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে আমরা ৩ ফুট জায়গা ছেড়ে দিয়ে দেয়াল নির্মাণ করি। এরপর থেকে আব্দুর রহিম গং আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। এছাড়া থানায় অভিযোগ দিয়ে এবং নানা অপপ্রচার করে আমাদেরকে হয়রানী করছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের কাছে প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

অভিযুক্ত আব্দুর রহিম জানান, ‘দীর্ঘদিনের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে আমাদের সাথে অমানবিকতা করা হয়েছে। এখন আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে বিচার চাওয়ার নেই।’

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাজী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘জাফর সামাজিক সিদ্ধান্ত মেনে ৩ ফুট জায়গা ছেড়ে দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছে। আব্দুর রহিম গং সামাজিক সর্দারদের নামে নানা অপপ্রচার ও কয়েকজনের নামে থানায় অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করছে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করে জাফর সঠিক আছে বলে জানিয়েছে।

চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই জিয়া উদ্দিন জানান, ‘৯৯৯ এ কল পেয়ে সোনাপুর গিয়ে প্রথমে দেয়াল নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে এবং উভয়পক্ষকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে বলা হয়। পরে উভয়পক্ষের কাগজপত্র যাচাই বাছাই ও স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনের সাথে কথা বলে বুঝলাম প্রবাসী জাফর তার নিজ জায়গাতেই দেয়াল নির্মাণ করছে। রহিমের অভিযোগ সত্য নয়।’

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

You cannot copy content of this page